মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুরে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর উপকারভোগীর বাড়িতে না হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার হোসেন আলীর ছেলে বেলায়েত হোসেন (৪৫) ১৩নং গোপালপুর ইউনিয়নের বগেরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। জনপ্রতিনিধি হলেন মৌলুদা বেগম, তিনি ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীর তালিকায় বেলায়েত হোসেনের নাম রয়েছে। তালিকায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষরেও উপকারভোগীদের চুড়ান্ত তালিকা হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু বেলায়েত হোসেনের বসতভিটায় পাকা ঘরের কোনো অস্তিত্বই নেই। বাস্তবে তার নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি ইউপি সদস্য মৌলুদা বেগম তার নিজ বাড়িতে নির্মাণ করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জানান, বেলায়েত হোসেনের সরকারিভাবে একটি ঘর এসেছিল শুনেছিলাম। কিন্তু সেই ঘর কোথায় তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করি তা দিয়েই স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোনরকমে দিনযাপন করি। আমার বাড়িতে পাকা কোনো ঘর নাই। সরকারিভাবে ঘরের তালিকায় আমার নাম আছে। জায়গা না থাকায় মেম্বার জায়গা দিছে সেখানে ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মৌলুদা বেগম বলেন, ঘর নির্মাণের সময় জমি পাওয়া যাচ্ছিল না তাই তাকে আমার বাড়ির পাশে জায়গা দিয়েছে সেখানে ঘর নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানে। যার নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে তিনিই এই ঘরে বসবাস করবেন। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলীপ বলেন, যার নামে ঘর বরাদ্দ তিনিই ঘর পাবেন। যতটুকু জানি জমি না পাওয়া যাওয়ার কারণে সেখানে তার ঘর নির্মাণ হচ্ছে। তবে যথাযথ নিয়ম মেনেই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যদি কোন অনিয়ম থাকে,তাহলেএর দায়ভার ইউপি সদস্যকেই নিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।